আমি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ দিতে পারি না, তবে সাধারণত ঘুম তাড়ানোর জন্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (যেমন কফি বা শক্তিবর্ধক পানীয়) ব্যবহার করা হয়। কিছু ওষুধও আছে যা সজাগ থাকতে সাহায্য করতে পারে, তবে এসব ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়।
যদি ঘুম দূর করার জন্য কোনো ওষুধ প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু উদাহরণ হিসেবে দেওয়া যেতে পারে:
১. ক্যাফেইন ট্যাবলেট
ক্যাফেইন হলো প্রাকৃতিক স্টিমুল্যান্ট, যা স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। এটি অনেকে ঘুম দূর করার জন্য ব্যবহার করে। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে দুশ্চিন্তা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং ঘুমের আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. মডাফিনিল (Modafinil) এবং আর্মোডাফিনিল (Armodafinil)
এগুলো মূলত নারকোলেপসি বা অতিরিক্ত তন্দ্রাচ্ছন্নতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর প্রভাব ফেলে, যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ সজাগ থাকতে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।
৩. অ্যাডেরল (Adderall) এবং রিটালিন (Ritalin)
এগুলো ADHD এবং নারকোলেপসি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উদ্দীপিত করে, যা ক্লান্তি কমায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। তবে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ঘাম, উত্তেজনা এবং আসক্তির ঝুঁকি।
৪. ইফিড্রিন (Ephedrine) এবং সুডোইফেড্রিন (Pseudoephedrine)
এগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং সাইনাস সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলো স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে এবং সাময়িকভাবে জাগ্রত থাকতে সাহায্য করতে পারে। এটি কিছু দেশে সীমিত বা নিষিদ্ধ।
৫. ন্যাচারাল বিকল্প: হের্বাল সাপ্লিমেন্ট
অনেক মানুষ গিনসেং, গিনকো বিলোবা বা অন্যান্য হারবাল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে সজাগ থাকতে। তবে এগুলোর কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই।
সতর্কতা:
ঘুমের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
0 মন্তব্যসমূহ